বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় কার অধীনে?
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় কার অধীনে?
উত্তর সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর অধীনে। এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর
ছেলের খুব কাছের লোক।এখানে কাজ করে বেশ কয়েকজন থেকে জানজাম যে এই মন্ত্রণালয়ের সব কাজ নাকি জয়- রেহানা গং রা বন্টন করে।
নেত্র নিউজ সমস্ত প্রমাণাদি সহ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে কক্সবাজারে মাতারবাড়িতে প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা মূল্যের একটি এলপিজি টার্মিনাল নির্মান করবে প্রতিমন্ত্রী
বিপুর আত্তীয় স্বজন দিয়ে গঠিত পাওয়ারকো ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি কোম্পানি (যা মূলত বিপু নিজেই চালায়) এবং মারুবেনী ও ভিটল নামে দুটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে।
প্রতিমন্ত্রী বিপুর পাওয়ারকো ইন্টারন্যাশনালের পরিশোধিত মূলধন মাত্র ১০০ ডলার। অথচ সে ২৭০০ কোটি টাকা মূল্যের কাজ করবে। পাওয়ারকোর সাথে এই প্রকল্পে অংশীদার যে দুটি
বিদেশী প্রতিষ্ঠান মারুবেনী ও ভিটল কাজ করবে তাদের নামেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করতে গিয়ে আছে নানান দূর্নীতি আর ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ।
বিভিন্ন দেশে ঘুষ প্রদানের অভিযোগে মারুবেনী ও ভিটলকে মার্কিন বিচার বিভাগ প্রায় ১৬৪ মিলিয়ন ডলার জড়িমানার রেকর্ড আছে।
আরো মজার বিষয় দেখলাম, বিপুর পাওয়ারকোর সাথে মাতারবাড়ি প্রকল্পে অংশীদার হওয়ার পর থেকে এই দুটি বিদেশী প্রতিষ্ঠান মারুবেনী এবং ভিটল বিপুর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে কয়েকশ মিলিয়নের কয়েকটা কাজ পায়। তাও কোন দরপত্র আহবান ছাড়াই।
আরে বাহ্
তারেক রহমানের খাম্বা দূর্নীতি শুধু লীগের মুখে মুখে গত দেড় যুগ ধরে শুনে আসছি। যার কোন প্রমাণ আজো কেউ দেখাতে পারেনি। অথচ প্রধানমন্ত্রীর অধীনে একটি মন্ত্রণালয়ে শুধুমাত্র একটি প্রকল্পেই এমন দূর্নীতি চাক্ষুষ প্রমাণ থাকার পরও আমরা সবাই পরীমনী নিয়া পড়ে আছি।
একটি মিনিষ্ট্রির একটি প্রকল্পের যদি হয় এই অবস্থা, তাহলে না জানি গত বারো বছরের সব মিনিষ্ট্রির দূর্নীতি খসড়া
হাজির করলে কি অবস্থা হয়?
ইহা দূর্নীতি নয়, ইহা রুপকথার গল্প….